কি এই সেলফিঃ
সেলফি মুলত বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস যেমন স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদির সাহায্যে নিজের ছবি নিজেই তোলার একটি পদ্ধতি। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম Instragram এ সেলফি জনপ্রিয় ছিলো, কিন্তু এখন ফেসবুকেও এটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ইতিহাসঃ
সেলফির ইতিহাস খুব অদ্ভুত। যতদুর জানা যায় ইতিহাস এর প্রথম সেলফি তোলা হয়েছিলো ১৮৩৯ সালে। রবার্ট কর্ণিলিয়াস নামের একজন ফোটোগ্রাফার প্রথম সেলফি প্রকাশ করেন।
১৯০০ সালে Kodak Brownie box camera বাজারে আসার পর সেলফি তোলা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বহনে সহজ এই ক্যামেরার সাহায্যে আয়নার মাধ্যমে সেলফি তোলার প্রচলন শুরু হয় তখন থকেই।
তারপর ধীরে ধীরে ক্যামেরার উন্নতির সাথে সাথে জনপ্রিয়তা বারে সেলফির ও।
জনপ্রিয়তার ধারাঃ
ফেসবুক এর আগের সময়টায় MySpace বেশ জনপ্রিয় ছিল। এবং সে কারনেই সেলফি সর্ব প্রথম জনপ্রিয়তা পায় সেখানেই। তারপর ফেসবুক জনপ্রিয় হওয়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত সেলফি নিম্ন রুচির পরিচায়ক ছিল। [কারন তখন বেশিরভাগ সেলফি গুলো বাথরুমের আয়নার সামনে তোলা হত।]
তবে শুরু থেকেই ইমেজ শেয়ারিং সাইট ফ্লিকার এ জনপ্রিয় ছিলো সেলফি। তবে তখনকার দিনের সব সেলফি গুলোই টিন এজ মেয়েরা আপলোড করত।
২০১৪ সালের সালের জানুয়ারী মাসে শীতকালীন অলিম্পিকের সময় টুইটারে “Selfie Olympics” খুব জনপ্রিয় হয়। হ্যাশটাগ #selfiegame এবং #selfieolympics ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে, মূলত তার পর থেকেই সেলফির জনপ্রিয়তা শুরু।
যত যাই হক সেলফি আমাদের তরুন সমাজে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় এবং এই জনপ্রিয়তা মোটামুটি অনেক দিন ধরে রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস গবেষকদের।
হ্যাপি সেলফিং !!!!