বাংলার কুসংস্কার:গাছের নিচে ভূতে ধরা!!!

by তৌফিক ⋅ Last Updated :
June 29, 2012 | 05:16 PM

আমাদের এই দেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য কুঃসংস্কার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।এগুলো আমাদের লোক সাহিত্যেরই অংশ বিশেষ।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যপার এই যে এই কুঃসংস্কার গুলো সংগ্রহের চেষ্টা কেউ করছে না।আসুন আমরা সবাই মিলে এই কুঃসংস্কার গুলো একত্রিত করি।EduportalBD.com এই কুঃসংস্কার গুলো কে সংগ্রহ করার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে।একার পক্ষে এত গুলো সংগ্রহ করা অসম্ভব প্রায়।তাই আপনাদের সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।আপনার জানা কোনো কুঃসংস্কার থাকলে আমাদের গ্রুপে পোস্ট করে বা আপনি নিজেও সাইটে পোস্ট করে জানাতে পারেন।আশা করি আমাদের এই প্রচেষ্টায় আপনাদের সমর্থন পাবো।
❗ আমাদের ফেসবুক গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/eduportalbdcom


  • লৌকিক ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চল গুলোতে এ ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত। বলা হয়ে থাকে যে, রাতের বেলা কেউ বড় কোনও গাছের নিচে ঘুমালে বা বেশি সময় থাকলে গেছো গলা কাটা ভূত তার শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলে।কোনও কোনও জায়গায় গলা কাটা গেছো ভূতের জায়গায় জ্বিনের নাম উল্লেখ করা হয়।এমন অনেক উদাহরণ পাওয়া যায় যে, রাতের বেলা বড় গাছের নিচে ঘুমিয়ে অনেকেই মারা গিয়েছে।আর কুসংস্কার-বাদী মানুষ এই ঘটনার দোষ বেচারা নিরীহ ভূত-প্রেতের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।

  • বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: কুসংস্কার হলেও এর মোটামুটি একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।আমরা জানি, উদ্ভিদ সাধারণত কার্বন-ডাই-অক্রাইড(CO2)গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন(O2) ত্যাগ করে।এভাবে উদ্ভিদ শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে।আবার এ শর্করা জাতীয় খাদ্য যখন গাছ নিজের কাজে ব্যবহার করে তখন কার্বন-ডাই-অক্রাইড উৎপন্ন হয়।বড় বড় উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্রাইড উৎপাদনের হার বেশি।একে উদ্ভিদের শ্বসন বলে।এটি সাধারণত রাতের বেলা সংঘটিত হয়।ফলে গাছের নিচে অক্রিজেনে অভাব ঘটে এবং কার্বন-ডাই-অক্রাইড এর আধিক্য হয়।তাই দুর্বল হার্ট বা ফুসফুসের রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়।এবং অনেক সময় মারা যায়।গবেষণা করে দেখা গেছে যে, এসব ক্ষেত্রে মৃত সবারই হার্ট বা ফুসফুসের বড় ধরনের সমস্যা ছিল।কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে যে এদের ভূতে মেরেছে।

Sponsored Products

আরো দেখুন


EduportalBD Mobile App

Official mobile app by Eduportalbd.com. Get EIIN number, EMIS code, contact info, address, and tons of other information about any educational institutions in 5 countries.

App download Call to Action