আসুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ দেখি!
তথ্য প্রযুক্তির এই সময় মানুষের অগোচেরে কিছুই থাকছে না।মহাকাশের জানা-অজানা সকাল রহস্যময় বিষয়গুলো একে একে সমাধান করছে সর্ব শ্রেষ্ঠ এই মানব জাতি।
টেলিস্কপের নাম আমরা সকলেই জানি। সূর্যগ্রহণ না চন্দ্রগ্রহণের সময় আমরা সকলেই টেলিস্কোপ দিয়ে তা দেখে থাকি।আজ আমি আপনাদের জানাব বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপের কথা।
নিচের ছবিটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ।
সম্প্রতি চিলিতে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপটি।সম্প্রতি চিলিতে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চোখ হিসেবে যা ছাড়িয়ে যাবে European Extremely Large Telescope (E-ELT)-কেও, এমন ধারণা বিজ্ঞানীদের। চিলির আটাকামা মরুভূমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এ টেলিস্কোপটি। অ্যালাকেমা লার্জ মিলিমিটার সাবমিলিমিটার (অ্যালমাস) প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটিতে যৌথভাবে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান
টেলিস্কোপটির কেন্দ্রে থাকবে একটি ৩৯ মিটার আকারের আয়না, যার ফলে এটিই হবে পৃথিবীর সবথেকে বড় অপটিক্যাল টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপের ভেতরে একই সঙ্গে এমন সূক্ষ্ম আলো ও ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করা হবে, যা অন্য যেকোন টেলিস্কোপের চেয়ে এটিকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন করে তুলবে।
ইতিমধ্যে এ টেলিস্কোপটির শাখা-প্রশাখা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ে অ্যালমাসের অন্যান্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিলিত হবে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে এটিতে প্রথম অ্যান্টিনা স্থাপন করা হয়। আশা করা হচ্ছে, ৬৬টি অত্যাধুনিক অ্যান্টিনা সমৃদ্ধ এ টেলিস্কোপটির কাজ আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। এটি দিয়ে নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, গ্রহ সম্পর্কিত বিষয় অনুসন্ধান করা হবে। এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চেয়েও দশগুণ বেশি রেজিউলেশন দিতে সক্ষম হবে ।
এটি তৈরির আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার হাবল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। সম্প্রতি উত্তর চিলির অ্যাটাক্যামা প্রদেশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সবচেয়ে আধুনিক এবং বৃহদাকার টেলিস্কোপটি তারা তৈরি করেছে। অ্যালাকেমা লার্জ মিলিমিটার সাবমিলিমিটার (অ্যালমাস) প্রকল্পের আওতায় এ কাজটি করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটিতে যৌথভাবে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। নির্মাণাধীন এ টেলিস্কোপটির অ্যান্টিনা সংখ্যা ৬৬টি হলেও এখন পর্যন্ত এর ১৬টি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। আর এতেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপের জায়গা দখল করে নিয়েছে। এ ১৬টি অ্যান্টিনা ডায়ামিটার ৪০ ফুট এবং ওজন প্রায় ১০০ টন।
এ প্রকল্পটির ব্যয়ের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। 😯
তবে ইএসও থেকে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়ে গেলেও অর্থায়ন নিয়ে সংকটে আছে প্রজেক্টটি। এর অর্থায়নের জন্য নিজ নিজ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ইএসও এর সদস্য দেশগুলো। অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, জার্মানী, সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড এই প্রজেক্টটিতে তাদের সমর্থন জানালেও এখনও বাকি আছে ইংল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং ইটালি। টেলিস্কোপের, শেষ হবে ২০২২ সালে।
টেলিস্কোপটির কাজ সময়মত শেষ করতে হলে এ বছরের মধ্যেই ইএসওকে নিশ্চিত করতে হবে প্রজেক্টটির অর্থায়ন। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই ব্যপারটি নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তায় নেই ইএসও ডিরেক্টর জেনারেল টিম দু যিউ। ইউরোপিয়ান এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ অনুমোদন পাবার পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইএসও-ও জন্য আজকের দিনটি খুবই আনন্দের। আমরা এখন এই জায়ান্ট প্রজেক্টটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।” 😎