রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এর সকল তথ্য

by EduportalBD Team

LAST UPDATED: APR 20, 2023

Table of contents

Open Table of contents

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

ইতিহাস:

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে প্রথম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। সেখানে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালনের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এর ভিত্তিতে ২০১২ সালে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের,বাগেরহাট জেলার রামপালে দুটি ৬৬০ ইউনিট মিলে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়ে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ওপর। এরপর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। প্রকল্প বাবদ খরচ ধরা হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

এক নজরে রামপাল তাপবিদ্যুৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর পুরো নাম

২x৬৬০ মেঃওঃ মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), বাগেরহাট

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ সকল সরকারী বেসরকারী চাকুরীর খবর জানতে ভিজিট করুন jobs.eduportalbd.com

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন থেকে কত দূরে

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের প্রান্ত সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হতে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন জেলায়

বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে উপজেলায়।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর তীরে

সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীরে

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি সরকারি?

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (BPDB) নির্মান করেছে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা কত

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা ১,৩২০ (২×৬৬০) মেগাওয়াট।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যয় কত

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যয় - ১৬,০০০ কোটি টাকা

অন্যান্য তথ্যাদি

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা:

ইকুইটি অংশ:

অর্থ যোগান:

চুক্তি:

ইপিসি ঠিকাদার:

সম্ভাব্য কমিশনিং:

কয়লা ও লাইমস্টোন ক্রয়

প্রথম জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ:

গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ রাতে রামপালের প্রথম ইউনিট থেকে শুরু হয় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পরে ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। তবে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ায় অবশেষে কেটে যায় সংকট।

প্রকল্পের অগ্রগতিঃ

প্রকল্পের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ২৮-১২-২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত অগ্রগতি

ইউনিট #১:

৭২ ঘন্টা ফুল লোড অপারেশন (যার মধ্যে ৬ ঘন্টা ডিপেন্ড্যাবল ক্যাপাসিটি টেস্ট বিউবোর কমিটি কর্তৃক পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে) সহ ১৬৮ ঘন্টা রিলায়েবিলিটি রান টেস্ট (RRT) গত ২২-১২-২০২২ তারিখে সম্পন্ন হয়েছে এবং গ্রীডের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিটটি পরিচালনা করা হচ্ছে। বাবিউবো কর্তৃক ইউনিট#১ COD অর্থাৎ প্রকল্পের IOD ঘোষণা করা হবে।

ইউনিট #২:

বয়লার ড্রেইনেবল হাইড্রো সার্কিট এর হাইড্রোটেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। টার্বাইন জেনারেটর-২ এর বক্স-আপ সম্পন্ন হয়েছে এবং অয়েল ফ্লাশিং চলমান আছে। বয়লার, ইএসপি, এফজিডি, মেইন পাওয়ার হাউজ ও উভয় ইউনিটের অবশিষ্ট কমন সিস্টেমের কাজ চলমান আছে।

পাওয়ার ইভাকুয়েশন এর নিমিত্ত ২৩০ কেভি রামপাল- খুলনা ডাবল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইন (২৪ কি.মি.) এবং ৪০০ কেভি রামপাল- গোপালগঞ্জ- আমিনবাজার ডাবল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইন (১৭৩.৫ কি.মি.) এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পিজিসিবি কর্তৃক লাইন চার্জিং সম্পন্নের পরে কেভি লাইনে ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৪০০ কেভি লাইনে পাওয়ার ইভাক্যুয়েশন শুরু হয়েছে।

ইতোপূর্বে, ০৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ পায়রা-গোপালগঞ্জ-রামপাল ৪০০ কেভি লাইন দিয়ে অত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইন্টার-কানেক্‌টিং ট্রান্সফর্মার (আইসিটি)#১ ও সুইচইয়ার্ড এর মাধ্যমে ২৩০ কেভি খুলনায় সরবরাহ করা শুরু হয়েছে এবং ৪০০ কেভি গোপালগঞ্জ- আমিনবাজার লাইন চালুর পূর্বে ইউনিট#১ এর পাওয়ার ২৩০ কেভি খুলনাতে সরবরাহ করা হয়েছে।

তথ্যসুত্র: বিবিসি, সময় টিভি ও বিদ্যুৎ বিভাগ

আরো দেখুন


EduportalBD Mobile App

Official mobile app by Eduportalbd.com. Get EIIN number, EMIS code, contact info, address, and tons of other information about any educational institutions in 5 countries.

App download Call to Action