‘ইসলামী আরবি অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংশোধন করে ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ করা প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার(০৬,আগস্ট,১২) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “ফাজিল ও কামিলসহ উচ্চ পর্যায়ের মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এ আইনের খসড়াটি এখন মতামতের (ভেটিং) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাদের মতামতসহ খসড়াটি শিগগিরই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।”
সচিব বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাফিলিয়েটিংয়ের (অধিভুক্তির) কাজ করবে। তবে এর নামের সঙ্গে ‘অ্যাফিলিয়েটিং’ শব্দটি রাখা ‘অযৌক্তিক’ মনে করেছে মন্ত্রিসভা। এজন্য নাম সংশোধন করে ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হচ্ছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, দেশে বর্তমানে অনুমোদনবিহীন ৫০০ ফাজিল ও ৩০০ কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। অধিভুক্ত এ ধরণের মাদ্রাসা রয়েছে ফাজিল ৯৮২টি এবং কামিল ১৪৫টি। এসব মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক নিয়োগ ও অনুমোদনের কাজও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ আইনের খসড়াটি তৈরি করেছে বলে সচিব জানান।