আমাদের এই দেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য কুঃসংস্কার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।এগুলো আমাদের লোক সাহিত্যেরই অংশ বিশেষ।কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ব্যপার এই যে এই কুঃসংস্কার গুলো সংগ্রহের চেষ্টা কেউ করছে না।আসুন আমরা সবাই মিলে এই কুঃসংস্কার গুলো একত্রিত করি।EduportalBD.com এই কুঃসংস্কার গুলো কে সংগ্রহ করার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে।একার পক্ষে এত গুলো সংগ্রহ করা অসম্ভব প্রায়।তাই আপনাদের সহায়তা আমাদের একান্ত কাম্য।আপনার জানা কোনো কুঃসংস্কার থাকলে আমাদের গ্রুপে পোস্ট করে বা আপনি নিজেও সাইটে পোস্ট করে জানাতে পারেন।আশা করি আমাদের এই প্রচেষ্টায় আপনাদের সমর্থন পাবো।
আমাদের ফেসবুক গ্রুপঃ https://www.facebook.com/groups/eduportalbdcom
- লৌকিক ব্যাখ্যা: অত্যন্ত অমানবিক একটা কুসংস্কার এটা।মৃগী রোগ দেখা দিলে রোগীর শরীরের সব মাংসপেশী, এমনকি শ্বাসনালী পর্যন্ত খিচে যায়।শ্বাস বন্ধ হতে পারে এবং শরীর নীল হয়ে যায়।হাত ভাজ হয়ে বুকের উপর চলে আসে আর পা দুটো শক্ত ও সোজা হয়ে যায়।এই সময় কিছু মানুষ রোগীর নাকের সামনে চামড়ার জুতা, মোজা, রসুন ইত্যাদি চেপে ধরে।তাদের ধারনা এর ফলে রোগীর উপর ভর করা মৃগী ভূত পালিয়ে যায়। 😎
- বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: বৈজ্ঞানিক ভাবে চামড়ার জুতা, মোজা, রসুন ইত্যাদি চেপে ধরার কোনও ভিত্তি নেই। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে মৃগী রোগীর খিচুনি জুতা, রসুন না শোকালেও ১-১.৫ মিনিটের মধ্যে আপনাআপনিই থেমে যাবে।কিন্তু মানুষ ধারনা করে যে, জুতা শোকানোর ফলেই খিচুনি থেমেছে।আসলে এই ধারনাটি সম্পূর্ণ ভাবেই ভুল।