মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করল Curiosity

by তৌফিক

পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ মঙ্গল। বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে গ্রহটিতে পানির উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব মিলতে পারে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মঙ্গলের একটি জায়গা শুষ্ক এবং সেখানকার বায়ুমণ্ডলের আবরণও পাতলা। জায়গাটিতে তীব্র শীত এবং ধূলিঝড়ও পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে।
গতকাল রোববার নাসা এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার গ্রিনিচ মান সময় পাঁচটা ৩১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৩১ মিনিট) কিউরিওসিটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করবে। এরপর যানটি মঙ্গলের বুকে প্রাণের অস্তিত্বের চিহ্ন রয়েছে—এমন মাটি খুঁজে পেলে সেই তথ্য পৃথিবীতে পাঠাবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

নাসার বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার রাতে কিউরিওসিটি বা মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরি যানটি মঙ্গল গ্রহ থেকে প্রায় চার লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল এবং প্রতি ঘণ্টায় যানটি ১৩ হাজার কিলোমিটার বেগে মঙ্গলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।সর্বশেষ জানা সংবাদ ,নাসার পারমানবিক শক্তিচালিত মার্স রোভার ‘কিউরিওসিটি’ সফলভাবে অবতরণ করেছে।

মঙ্গল গ্রহকে বলা হয় আমাদের সোলার সিস্টেমের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মঙ্গলে গবেষণার কাজে যে নভোযানগুলো পাঠানো হয় তার অর্ধেকেরও বেশি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ধ্বংস হয়ে যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল। পৃথিবী বা চাঁদের তুলনায় অনেক বিপজ্জনক মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় নভোযানটির গতি। কিন্তু মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় এতোই পাতলা যে, মহাকাশযানের গতি কমাতে পারে না। মার্স রোভার মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২০০ মাইল গতিতে।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ঘর্ষণসৃষ্ট তাপ থেকে রক্ষা পেতে কিউরিওসিটির রয়েছে ১৪.৮ ফিল্ড ডায়ামিটারের একটি হিট শিল্ড। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর কিউরিওসিটি মুখোমুখি হবে ৩,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার। ওই ভয়াবহ তাপ থেকে নভোযানটি রক্ষা করতে নাসার বিজ্ঞানীরা হিট শিল্ডটি তৈরি করেছেন ফেলোনিক ইমপ্রেগনেটেড কার্বন অ্যাবলাটর দিয়ে।

নাসার তৈরি অন্য মার্স রোভারগুলোর তুলনায় কিউরিওসিটি অনেকখানি ভিন্ন। কিউরিওসিটির মাধ্যমে অনেক পুরনো অর্জনকে টপকে গেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৮৯৯ কেজি ওজনের কিউরিওসিটি আসলে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল বা এসইউভির আদলে তৈরি একটি রোবট। আর দানবীয় ওই রোবটি চলবে পারমাণবিক শক্তিতে।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর কিউরিওসিটি ল্যাণ্ড করে প্যারাসুটের সাহায্যে। প্যারাসুট খোলার ২৪ সেকেন্ড পর নভোযানটি থেকে খুলে আলাদা হবে হিট শিল্ডটি। এরপর রকেট পাওয়ার্ড স্কাই ক্রেনের সাহায্য নিয়ে মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে কিউরিওসিটি।

ভিডিওটি দেখুন।Curiosity Landing……..।

আরো দেখুন


EduportalBD Mobile App

Official mobile app by Eduportalbd.com. Get EIIN number, EMIS code, contact info, address, and tons of other information about any educational institutions in 5 countries.

App download Call to Action